মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।
শনিবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাঈম উদ্দিন আহমেদ।
শুরুতে শিডিউল ছিল ৬.১৫ মিনিটে পৌঁছাবেন তিনি। কিন্তু অবতরণে বিলম্ব হওয়ায় সাড়ে সাতটায় অবতরণ করে ডোনাল্ড লুকে বহনকারী বিমান।
ডোনাল্ড লু’র এই সফরে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, জিএসপি সুবিধা ফেরত, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্থাপিত বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সঙ্গে নজর দিলে সম্পর্ক ইতিবাচক পথেই এগোবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দুদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বৈঠক করবেন। রবিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকে র্যাব, জঙ্গিবাদ ইস্যুসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
একটি বিশেষ জায়গায় আটকে না থেকে দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক হুমায়ুন কবিরের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ১২ জানুয়ারি থেকে ভারতে সফর করেছেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি।
লু’র সফরে আলোচনার বিষয়ে কূটনৈতিক অন্য একটি সূত্র বলছে, ডোনাল্ড লু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। অবশ্যই এ সফরে ওয়াশিংটনের কিছু এজেন্ডা নিয়েই আসছেন তিনি। আশা করা হচ্ছে, লু বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সব দলের অংশগ্রহণের বার্তা দেবেন। পাশাপাশি তিনি মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা বলবেন।
২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন ডোনাল্ড লু। এর আগে তিনি কিরগিজিস্তান ও আলবেনিয়াতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কাজ করা লু পাকিস্তানের পেশোয়ারে রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে (১৯৯২-১৯৯৪) দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া নয়াদিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সহকারী (১৯৯৬-১৯৯৭) এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তা (১৯৯৭-২০০০) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মাহফুজা ১৪-১