২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড; শৈত্যপ্রবাহের কবলে বিপর্যস্ত উত্তরের সব জেলা

    চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

    বৃহস্পতিবার  সকালে জেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এ তথ্য জানান।তিনি  বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতের তীব্রতা খুব বেশি অনুভূত হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

    এদিকে, শৈত্যপ্রবাহের কবলে বিপর্যস্ত উত্তরের সব  জেলাগুলো।

    পঞ্চগড়ে আবার কমলো তাপমাত্রা। সপ্তাহ ধরে অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার  সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার রেকর্ড হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় শৈত্যপ্রবাহের কবলে বিপর্যস্ত উত্তরের এ জেলার সাধারণ মানুষ।

    ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পুরো জেলা। উত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে প্রবাহিত হিম বাতাসে বইছে প্রচন্ড শীত। এতে শীত দুর্ভোগে পড়েছে নানান শ্রমজীবী-কর্মজীবী ও হতদরিদ্র মানুষ।

    শীতের কারণে পড়ালেখা স্থবির হয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। সকালে কুয়াশা আর বাতাসের কারণে প্রাইভেট ও স্কুলে যাওয়াও কষ্ট হচ্ছে তাদের ।

    এদিকে শীতে প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন।

    চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

    জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এ পর্যন্ত চল্লিশ হাজার শীত বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত দুইদিন ধরে কনকনে শীতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ার দাপটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতের কারণে সকাল সকাল মানুষ বাজারমুখী না হওয়ায় দোকানপাট খুলছে দেরিতে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গত ৭২ ঘণ্টায় সর্বশেষ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর বেলায় কুয়াশার দাপট থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে

    বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কে কুয়াশার দাপটে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা পেটের দায়ে কনকনে শীতেও কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

    এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই ঠাণ্ডাজনিত রোগী ভর্তি হচ্ছে। জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, রোটা ভাইরাসের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।’

    জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অন্ততপক্ষে ২৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

    কুড়িগ্রামে গত চার দিন ধরে দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা নামার আগেই কমে যায় তাপমাত্রা। রাত যত গভীর হয় বাড়তে থাকে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা।

    জেলায় বুধবার  সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কম থাকায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে জনজীবনে। ব্যাহত হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

    কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকসহ চরাঞ্চলের মানুষেরা।

    কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন বলেন, গত চার দিন ধরে এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

    এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে জেলার ৯ উপজেলায় দরিদ্র মানুষের জন্য ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, আরও নতুন করে ২৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে যা দ্রুত বিতরণ করা হবে।

    তীব্র শীত আর কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

    সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ।বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

    মাহফুজা ১২-১

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর