১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট আগে শেষ

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি  সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২

    টায় মাঠে গড়ায় ম্যাচটি।সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে সবাই হাজির মিরপুর শের-ই-বাংলায়। সংখ্যাটা দশ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে।

    সিলেটের হয়ে এই আসরে অধিনায়কত্ব করবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিপিএলে ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জয়ি এই অধিনায়কের অধীনে ইতিহাস গড়তে চায় সিলেট।

    এর আগে একাধিক আসরে অংশ নিলেও বলার মতো কোনো সাফল্য নেই দলটির। তবে এবার বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক, জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে দলে ভিড়িয়ে শিরোপা জেতার আশা দেখছে দলটি।

    এছাড়া দেশীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত,তৌহিদ হৃদয়, রুবেল হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, আকবর আলীদের মতো তারকা খেলোয়াড় রয়েছেন দলটিতে। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরও আছেন এই দলে।

    অন্যদিকে প্রতিবারই মাঝারি মানের দল নিয়েও মোটামুটি ভালো ফল করে চট্টগ্রাম। এবার দলটির অধিনায়কত্ব করছেন শুভাগত হোম।

    এছাড়া আফিফ হোসাইন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী,  মেহেদী হাসান রানা, ইরফান শুক্কুর, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, ফরহাদ রেজাদের দেশীয় ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মাররা খেলছেন দলটির হয়ে।

    সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ শেষ নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট আগে! চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৮৯ রানে আটকে রাখে সিলেট। জবাবে তারা ম্যাচ জিতে নেয় ৪৫ বল আগে, ৮ উইকেট হাতে রেখে।

    বিপিএলের নতুন আসর। প্রথম ম্যাচ। সতেজ উইকেট। কিন্তু ২২ গজে সেই পুরোনো চিত্র। এজন্য অবশ্য উইকেটকে খুব বেশি দোষারোপ করাও যাবে না। চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরাই যে তালগোল পাকানো ব্যাটিং করলেন।

    টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। গুমোট আকাশের ফাঁক দিয়ে দুপুর গড়াতেই দেখা মেলে ঝলমলে সূর্য্যের। সেই তেজোদ্বীপ্ত সূর্য্যের মতোই উদ্দীপ্ত ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলিং। সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি একাদশ সাজিয়েছিলেন একেবারে কন্ডিশন বুঝে।

    তিনিসহ একাদশে চার পেসার। দুই বিদেশি মোহাম্মদ আমির ও থিসারা পেরেরার সঙ্গে স্থানীয় রেজাউর রহমান রাজা। চতুষ্টয়ের আক্রমণে স্রেফ পুড়লো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর আড়াইটায়। কিন্তু দুই ঘণ্টা আগে হঠাৎ সময়ের পরিবর্তন। ম্যাচ শুরু দুপুর দুইটায়। আধাঘণ্টা এগিয়ে আসা ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লে’তে ২১ রানে নেই ২ উইকেট।

    মাশরাফির প্রথম দুই ওভার ছিল একেবারে নিয়ন্ত্রিত। প্রথম ওভারে ১ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে দেন ১০ রান। সঙ্গে আমির, থিসারার আক্রমণের জবাব ছিল না চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ক্রমেই লড়াই থেকে ছিটকে যেতে থাকে তারা।

    বল হাতে সিলেটের সেরা ছিলেন রাজা। ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিজের বোলিং স্পেলে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি এ পেসার। ডট বল ছিল ১২টি। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন দ্রুততম এ পেসারই।

    আট মাস পর মাঠে ফিরে মাশরাফির বোলিংও ছিল আঁটসাঁট। ১৮ রানে পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের উইকেট। তার বোলিং স্পেলে ছিল ১৩টি ডট বল। এছাড়া আমিরের বোলিংয়ের কোনো উত্তর ছিল না ব্যাটসম্যানদের। ৪ ওভারে ১ মেডেনে কেবল ৭ রান দিয়েছেন। তার ২৪ বলের ২০টি ছিল ডট।

    চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ে ভরসা ছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ২৩ বলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন আল-আমিন জুনিয়র।

    সিলেটের ব্যাটিং ছিল আক্রমণাত্মকএবং  তাতে অতি সহজেই জয়ের বন্দরে নোঙর গড়ে তারা। শুরুতে পেসার মৃত্যুঞ্জয় সিলেটের কলিন আকারম্যানকে ১ রানে ফেরান। দ্বিতীয় উইকেটে জাকির ও শান্ত ৬২ রানের জুটি গড়েন। তাতে শুরুর ধাক্কা সামলে জবাব দেয় সিলেট। জাকির ২১ বলে ২৭ রান করে ফেরেন পুস্পকুমারার ঘূর্ণিতে। জয়ের বাকি কাজ সারেন শান্ত ও মুশফিক। ৪১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রান করেন শান্ত। জয়সূচক রান নেওয়া মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।

    পুঁজিতে বড় কোনো সংগ্রহ ছিল না। চট্টগ্রামের বোলিংও তেমন ভালো হয়নি। ১৩ রানই তারা দিয়েছে অতিরিক্ত। তাতে জয়টাও আরও সহজ হয়ে যায় মাশরাফির দলের জন্য। ২ পয়েন্ট নিয়ে এবারের লিগের যাত্রা শুভ করলো তারা।

    মাহফুজা ৬-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর