১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ২০২২ সালের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজারে ভিড় করেছেন পর্যটকেরা

    শীতের হিমেল হওয়ায় চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। সামনে ঢেউয়ের গর্জন। এরই মাঝে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায় ২০২২ সালের শেষ সূর্য। অনেক প্রাপ্তি, হতাশা, ক্লান্তি ও নানা ঘটন আর অঘটনকে ছাপিয়ে শেষ হলো আরও একটি বছর।

    ২০২২ সালের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে ভিড় করেছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা। এ সময় সৈকতপাড়ের বালুচরে ও হাঁটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যের বিদায় জানান তারা।বছরের শেষ সূর্য ডোবা দেতে সৈকতে হাজির হন প্রকৃতিপ্রেমীসহ স্থানীয় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা।

    রোববারের সূর্যোদয়ের মধ্যদিয়ে পথচলা শুরু হবে ২০২৩ সালের। বিদায়ী বছরের সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব পেছনে ফেলে পরিচ্ছন্ন আগামীর প্রত্যাশায় ২০২৩ সালকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। উন্মুক্ত কোনো আয়োজন না থাকলেও নিজেদের মতো করে নতুন বছরকে বরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন সব শ্রেণির মানুষ।

    কক্সবাজারে এবার উন্মুক্ত স্থানে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনো আয়োজন ছিল না। তারপরও বছরের শেষ সূর্যকে হাতছানি দিয়ে বিদায় জানাতে সমুদ্রসৈকতে ছুটে এসেছেন দেশি-বিদেশি পর্যটক।

    থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে পর্যটন শহরের ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের প্রায় ৭৫ শতাংশ বুকিং বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার।

    এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে জেলা প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশের টিম।

    প্রতিবছর পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছর স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হতো সব হোটেল ও মোটেল। কিন্তু করোনার পর থেকে তা চোখে পড়েনি।

    কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন স্পট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় কক্সবাজারে পর্যটক অনেকাংশে কমে গেছে। পর্যটকরা কুয়াকাটামুখী হয়েছে। তাছাড়া কক্সবাজারে বিভিন্ন হোটেলের দালাল ও ফড়িয়াদের খপ্পরে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে আসতে চান না। এর আগে বছরের শেষ সময়ে কক্সবাজারে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ, গেস্ট হাউজ শতভাগ বুকিং থাকলেও এবার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে।

    রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় খোলা জায়গায় থার্টিফার্স্ট নাইটের সব ধরনের আয়োজন বন্ধ। তবে, অতীতের মতো তারকা হোটেলগুলো নিজ উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠান করছে। নিজেদের হোটেলে অবস্থান করা অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে এসব আয়োজন। কিন্তু বহিরাগতদের জন্য বর্ষবিদায় ও নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে সাশ্রয়ী দামে গালা ডিনারের আয়োজন করেছে তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেড। একই ধরনের আয়োজন রেখেছে সায়মন বিচ রিসোর্ট, সি পার্ল হোটেল অ্যান্ড স্পা, কক্স টু ডে হোটেল ও লং বিচ।

    সৈকতে নিয়োজিত বিচকর্মী ও লাইফগার্ড কর্মীরা বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের সেবায় সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ যেন হয়রানি না হয়, সেদিকে প্রতিনিয়ত লক্ষ্য রাখছেন। বছরের শেষ সূর্য দেখতে সৈকতে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন। তারা গভীর পানিতে নামছেন কি-না অথবা কোনো সমস্যায় পড়েছেন কি-না, তা সার্বক্ষণিক তদারকি করে যাচ্ছেন।

    কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটন এলাকায় কোথাও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কনসার্ট, নাচগান বা আতশবাজির আয়োজন করতে না দেয়ার ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পর্যটকরা সুন্দরভাবে কক্সবাজারের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

    কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, অনুষ্ঠান না থাকলেও পর্যটন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশসহ একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে।

    মাহফুজা ৩১-১২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর