১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ১১ জানুয়ারি সারাদেশে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি

    আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

    শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা দাবির প্রথম কর্মসূচি ছিল আজকের গণমিছিল। দ্বিতীয় কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি। ঢাকায় এ কর্মসূচি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে হবে। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে ৯টি বিভাগীয় শহরে একইভাবে ৪ ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি করবে দলটি।

    মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিকভাবে হ্রাইবিড সরকার নামে পরিচিত। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ জন্য আজ ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। অনেক আমদানিকারক এলসি খুলতে পারছেন না, কারণ ব্যাংকগুলোতে ডলার নেই।

    সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে গঠন করতে হবে। তারাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তাদের অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবেখন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো এখানেও (গণমিছিলে) আপনারা জমায়েত হয়েছেন, এজন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি করছি। এসময় তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে যেসব দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

    গণমিছিল থেকে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান মোশাররফ।

    সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ১০ দফা দাবি মানতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না, করতে দেওয়াও হবে না। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

    এদিকে গণমিছিলে যোগ দিতে সকাল থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমবেত হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির পূর্বঘোষিত গণমিছিল শুরু হয়।

    মালিবাগ মোড় হয়ে শান্তিনগর থেকে মৌচাক মোড় হয়ে মগবাজারে গিয়ে এ গণমিছিল শেষ হবে। এ মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমানসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা একটি খোলা ট্রাকে চড়ে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    এছাড়া বিএনপি ও তার সমমনা দল ও জোটগুলোর গণমিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থাককে দেখা গেছে। এরই মধ্যে সকালে বিএনপির সমমনা জোট গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে গণমিছিল করেছে।

    মাহফুজা ৩০-১২

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর