১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    দেশের চার জেলায় ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ -বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর

    আজ দেশের চার জেলায় ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার দেশের পাঁচ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। একদিনের ব্যবধানে সেই পাঁচ জেলা থেকে তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ দূর হয়েছে। অন্যদিকে নতুন করে দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।

    শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ থাকলেও আজ তা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিলো।

    শুক্রবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, নওগাঁ, পঞ্চগড়, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

    রাজশাহী, পাবনা ও নীলফামারী অঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ দূর হয়েছে। পঞ্চগড় ও যশোর অঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

    শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮, নওগাঁর বদলগাছীতে ১০, যশোরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে।

    শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

    এসময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

    কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। গত কয়েকদিন ধরেই ঘনকুয়াশা আর তীব্র শীতে অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডায় কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবিরা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষজন। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

    শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই, কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে প্রকৃতি। ঘন-কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে যানবাহন।

    ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময়মতো কাজে যেতে না পাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবিরা। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা

    জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলার ৯ উপজেলায় ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

    উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। তাপমাত্রার অবনতি আর কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীত।

    শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    মাহফুজা ৩০-১২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর