বিএনপি গণমানুষের দল নয়, দলটির কাছে ক্ষমতা হলো ভোগের বস্তু। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রায় পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের তৃতীয় সম্মেলন হচ্ছে।
এর আগে সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। সম্মেলন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে। বিএনপিসহ যারাই আগে ক্ষমতায় ছিল, দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। ২১ বছর এ দেশের মানুষ নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চিত।
বিএনপির শাসনামলের মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার, দুঃশাসন একাত্তরের নির্যাতনের সাথে সাথে মিলে যায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরাই এসবের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। একদিকে পুলিশ বাহিনী অন্যদিকে বিএনপির গুন্ডাবাহিনী অকথ্য নির্যাতন করেছে। এই মেয়েদের ওপর যেভাবে নির্যাতন করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমরা ক্ষমতায় এসে আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি। দেশের উন্নয়নের মনোযোগ দিয়েছি।
তিনি বলেন, নারীর অধিকার কেড়ে নিয়েছে বিএনপি। শামসুন্নাহার হলেও মেয়েদের ওপর নির্যাতন করেছে। তাদের গোলাগুলিতে বুয়েটে মেধাবী ছাত্রী সনি মারা গেলো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোনো কথা বলেনি। ওই নির্বাচনের ফলাফল কি ছিলো। সেই নির্বাচনে ৩’শ ছিটের (আসন) মধ্যে বিএনপি মাত্র ৩০টি ছিট পেয়েছিলো। আর জাতীয় পার্টি পায় ২৭টি ছিট। জাতীয় পার্টি যদি আর মাত্র ৩টি ছিট পায় তাহলে ওই সময়ে তারা বিরোধীদলও হতে পারতো না। ২০০৮ সালের নির্বাচরে তো এই রেজাল্ট। ২০১৪ সালে তারা কতো মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে?
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। আমাদের অর্থনীতি হবে ই-ইকোনমি, সেটাও আমরা ডিজিটাল করবো। আমাদের প্রতিটি উন্নয়ন ই-উন্নয়ন করবো।
‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছে যুব মহিলা লীগ।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক অপু উকিলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০০২ সালের ৬ জুলাই গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ। সেসময় নাজমা আক্তারকে আহ্বায়ক ও অপু উকিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের কমিটি করা হয়। সংগঠনটির প্রথম সম্মেলন হয় ২০০৪ সালে। এতে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তিন বছর পর পর সম্মেলনের গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৩ বছর পর হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে ফের নাজমা আক্তার ও অপু উকিল নেতৃত্বে আসেন।
মাহফুজা ১৫-১২