এ বছরের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি তিনদিনের সম্মেলন শুরু হবে এবং শেষ হবে ২৬ জানুয়ারি।
এরইমধ্যে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ তথ্য জানয়।
করোনার দুই বছর ২০২০ ও ২০২১ সাল ডিসি সম্মেলন হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই এ সরকারের শেষ ডিসি সম্মেলন। সেই হিসেবে এ সম্মেলন বেশ গুরুত্ববহ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, ‘সম্মেলন অনুষ্ঠানে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।’
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সব জেলার ডিসিদের কাছ থেকে প্রস্তাব নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই হয়েছে এবং প্রস্তাবগুলো বই আকারে প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষে কমিটি গঠন, কার্যপরিধি নির্ধারণ এবং সময়াবদ্ধ চেকলিস্ট পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এ সম্মেলনটি সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষে কমিটি গঠন, কার্যপরিধি নির্ধারণ এবং সময়াবদ্ধ চেকলিস্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত করা চেকলিস্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটি কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ২৪ জানুয়ারি সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন এবং সম্মেলন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্য করোনার আগে সাধারণত প্রতি বছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হতো।
ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্য-অধিবেশন, একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও একটি সমাপনী অনুষ্ঠান থাকে। এবারের সম্মেলনেও এসব আনুষ্ঠানিকতা থাকছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে।
কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন। সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রস্তাব দেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
মাহফুজা ১৪-১২