২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে

    একাদশ ও সমমান শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার  এ ভর্তি আবেদন শুরু হয়।

    ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন ধাপে হবে আবেদন গ্রহণ ও মেধা তালিকা প্রকাশ। তালিকাভুক্তদের নির্ধারিত সময়ে ভর্তির জন্য ৩২৮ টাকা দিয়ে নিশ্চয়ন করতে হবে। ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভর্তি কার্যক্রম। ক্লাস শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি।

    একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং নন-এমপিওতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    বুধবার ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

    যারা আবেদন করতে পারবেন– ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে দেশের যে কোনো শিক্ষাবোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাস করা শিক্ষার্থীরা একদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যান্য বছরে পাশ করা শিক্ষার্থীরাও ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা প্রতিষ্ঠা থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

    টেলিটকের ওয়েবসাইটে www.xiclassadmission.gov.bd গিয়ে আবেদন করতে হবে।

    বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেকোনো (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) গ্রুপে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। মানবিক গ্রুপ থেকে মানবিক ও ব্যবসায় আবেদন করা যাবে। ব্যবসায় বিভাগ থেকেও এই দুই গ্রুপের একটিতে আবেদন করতে পারবে। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।

    একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিনস্থ দপ্তর, সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে।

    একাদশের ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন চার্জ ও ভর্তি বাবদ এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটনে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বেইরের মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার, ইংরেজিতে ৩ হাজার টাকা, জেলা শহরে বাংলায় ২ হাজার, ইংরেজিতে ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, উপজেলা বা মফস্বল পর্যায়ে বাংলায় ১ হাজার ৫০০ ও ইংরেজিতে এক হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ফি নেওয়া যাবে না।

    ননএমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটনে বাংলা ভার্সনে ৭ হাজার ৫০০, ইংরেজি ভার্সনে ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলায় ৫ হাজার, ইংরেজিতে ৬ হাজার, জেলা শহরে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা বা মফস্বলে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফি আদায়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে রশিদ দিতে হবে। দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে উল্লেখিত সব ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে বলা হয়েছে। সব ফি’র বিবরণ স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে হবে। কোনোভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।

    এ বছর সারাদেশে তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন। যার মধ্যে পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। গত বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। যার মধ্যে পাস করে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন।

    এ বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র এক লাখ ২১ হাজার ১৫৬ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন।

    ২৮ নভেম্বর দুপুর ১২টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। গতবারের তুলনায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন।

    মাহফুজা ৮-১২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর