সাড়ে সাত বছর পর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে শেরপুর শহর ও শহরতলির বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবিসংবলিত অসংখ্য গেট। নেতাদের ছবিসহ পোস্টার, নানা রঙের ফেস্টুন, বিলবোর্ড এবং ব্যানারে ছেয়ে গেছে শেরপুর শহর ।
সম্মেলন ঘিরে জেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন এই নিচে চলছে নানা গুঞ্জন, আলোচনা।
তাছাড়াও প্রার্থীরা সমর্থনের আশায় জেলা, উপজেলায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা সমাবেশ করে চলেছেন । ইতিমধ্যে নকলা, নালীতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও সদর উপজেলাতে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটির কাজ শেষ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৯ মে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে আতিউর রহমানকে সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি হয়।
সিনিয়র এক নেতা বলেন, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি গঠন না হলে দলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হবে।
জেলা আওয়ামী লীগ জানায়, কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।
সম্মেলনের ব্যাপারে দলটির বর্তমান সভাপতি বলেন, শেরপুর জেলার সম্মেলন অত্যন্ত উৎসবমুখর হবে। দীর্ঘদিন পরে ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সম্মেলনের প্রস্তুতি ও জৌলুষের কোন ঘাটতি
এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পজিটিভ পরিবর্তন ও সুন্দর নেতৃত্ব আসবে বলে মনে করেন দলের নেতাকর্মীরা। সেই নেতৃত্বের মাধ্যমে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ আরও সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার তিনটি আসন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন বলে নেতাকর্মীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাহফুজা ৮-১২