কুমিল্লার তিতাসে সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লা ও ইউপি সদস্য সাইফুলের দলের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত আরও ৯ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিতাস থানার পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হন ।
নিহত জহিরুল ইসলাম ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মাছের প্রজেক্টের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সাইফুল আলম গ্রুপের মধ্যে মানিককান্দি এলাকায় সংঘর্ষ হয়। বর সময় দু দলের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে সাইফুল মেম্বারের লোকজন প্রকাশ্যে হামলা চালায়। এ সময় আবু মোল্লা চেয়ারম্যানের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. জহির, পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন।
মারাত্মকভাবে আহত জহিরুলকে প্রথমে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যসহ অন্যদের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত জহিরের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পুকুরের মাছ জোর করে ধরে নিতে আসলে আমার লোকজন বাধা দেয়। তারা বাধা আমান্য করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’
এ ব্যাপারে তিতাস থানা ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের ইটপাটকেলের আঘাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ আহত হয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মাহফুজা ৬-১২