প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলার আসামি ঈদী আমিনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
ঈদী আমিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্নসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এসব তথ্য জানান কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. আশ্রাফ ।
২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য সোহেল ও শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। রাতেই ১০ জঙ্গির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ নভেম্বর জঙ্গি ছিনতাই ঘটনার প্রধান সমন্বয়ক মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মাহফুজা ২৭-১১