২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    আগামী ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে; শেষ হবে ১৯ ডিসেম্বর

    আগামী ৮ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। ১৯ ডিসেম্বর শেষ হবে ।

    রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের নির্দেশনা দিয়েছে । একই সঙ্গে পরীক্ষার রুটিনও প্রকাশ করেছে।

    এ পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ক্লাস্টারভিত্তিক এবংকম্পিউটার কম্পোজড প্রশ্ন ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে হবে। ৬০ নম্বরের বার্ষিক পরীক্ষার সঙ্গে ক্লাস টেস্টের ৪০ নম্বর যোগ করে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির প্রতিবেদন শিক্ষকদের তৈরি করতে হবে ।

    পরীক্ষার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া যাবে না। পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন ফটোকপি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করবে। এর ব্যয় নির্বাহ করা হবে স্কুলের বাজেটের আনুষাঙ্গিক খাত থেকে।

    সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯ নয়টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষা হবে।

    ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী গণিত পরীক্ষা হবে। ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষা হবে।

    ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সমাজ ও বিজ্ঞান এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা হবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে।

    আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এসব শ্রেণির চারু ও কারুকলা, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা হবে।

    ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চারু ও কারুকলা, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের এবং বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান পরীক্ষা হবে।

    পরীক্ষা আয়োজনের পদ্ধতি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রতি শ্রেণিতে প্রতি বিষয়ে পূর্ণমান ৬০ নম্বরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।

    অধিদপ্তর জানায়, কোনো অবস্থাতেই প্রশ্নপত্র ছাপাখানায় মুদ্রণ করা যাবে না। প্রত্যেকটি বিষয়ে শ্রেণি মূল্যায়নের প্রাপ্ত নম্বর এবং চূড়ান্ত প্রান্তিকের প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে এবং অভিভাবকদের অবহিত করতে হবে।

    থানা বা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তে তারিখ ও সময় পুনঃনির্ধারণ করা যাবে কোনো বিশেষ পরিস্থিতির জন্য মূল্যায়নের তারিখ ও সময়সূচি পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে ।

    মাহফুজা ২৭-১১

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর