মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে নো ম্যানস ল্যান্ডে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর মারা গেছে। সে কোনার পাড়া সীমান্তে থাকা আয়ুবের ছেলে। রোববার সকালে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের মাঝি আবদুর রহিম। তিনি জানান, ওমর ফারুক ও আবদু ইয়্যা নামে দুই রোহিঙ্গা সকালে তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার সীমান্তে পাহাড়ি ছড়ায় মাছ ধরতে যায়। এ সময় সীমান্তে বিজিপির পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে ওমরের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় । এ ঘটনায় আরেক জন প্রাণে রক্ষা পায়। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সীমান্তের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।’
সীমান্তে দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকতা বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি এবং বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম জানান, ‘মাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা গেল পাচঁ বছর ধরে তুমব্রু সীমান্তে বিপরীতে শূন্যরেখায় আশ্রয় শিবির গড়ে তুলে বসবাস করছে । আশ্রয় শিবির ঘেঁষে মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া ও রাখাইন রাজ্যের একাধিক পাহাড় রয়েছে। পাহাড়ের ওপর দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের –বিজিপি তল্লাশি চৌকি আছে।
মাহফুজা ৩-১০