দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিয়ে বাংলাদেশে পা রেখেছে নারীরা। তাদের বহনকারী বিমান দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান ও বাফুফে প্রতিনিধিরা ।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাবিনা ট্রফি উঁচিয়ে ধরে বলেন, ‘সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য। এই ট্রফি আমাদের দেশের জনগণের জন্য। প্রথমেই আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, ‘আমাদের মেয়েদের জন্য আজকের এই রাজকীয় আয়োজন করায়। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে। ২০১২ সালে আমাদের এই পথচলায় পরিবর্তন শুরু করেছিলেন আমাদের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার , পরে তা রূপ দেন কাজী সালাউদ্দিন। আজ আমাদের এই অর্জন সেটার প্রেক্ষিতেই ।
বেলা সাড়ে ৩টায় ছাদখোলা বাসে করে বাফুফের পথে রওনা হয় দল। বিমানবন্দরের বাইরে ব্যান্ড বাজিয়ে তাদের বরণ করা হয়। মেয়েদের বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছেন সমর্থক, শুভাকাঙ্খীরা। কেউ এসেছেন ফুল নিয়ে। কেউ বাংলাদেশের পতাকা গায়ে জড়িয়ে। ক্রিকেট মাঠে সদা উপস্থিত হওয়া টাইগার শোয়েবও মেয়েদের সমর্থন জুগাতে বিমানবন্দরে হাজির হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিজয়ী মেয়েদের জন্য ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করেন। সেই বাসেই চড়ে চ্যাম্পিয়নরা বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে বিজয় স্মরণী উড়ালসেতু দিয়ে বাঁয়ে চলে যাবে। তেজগাঁও, কাকরাইল, ফকিরাপুল, আরামবাগ হয়ে ফুটবলাররা পৌঁছাবেন বাফুফে ভবনে। দীর্ঘ এ যাত্রাপথে রাস্তার দুই পাশে থাকবেন সাধারণ মানুষ যাদের প্রাণভরা ভালোবসায় সিক্ত হবেন সাফের চ্যাম্পিয়নরা।
নেপালে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাফের শিরোপা জিতেছে। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে অদম্য নারীরা দেশকে ভাসিয়েছে আনন্দ, উল্লাসে।
মাহফুজা ২১-৯