পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। চলাচল করেনি শাটল ট্রেন-বাস। স্থগিত করা হয় বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল থেকে ছাত্রলীগের শাখা কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে অবরোধ শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ছয়টি উপগ্রুপ অবরোধে অংশ নেয়। এগুলো হলো- ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা। সবগুলো গ্রুপই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
ষোলশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অবরোধের জন্য সকাল সাড়ে ৭টা ও ৮টার শাটল ট্রেন চলাচল করেনি। প্রশাসনের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে চালকরা । বিষয়টি সুরাহা হলে স্বাভাবিক শিডিউলেই শাটল চলবে।
পদবিঞ্চত নেতারা জানান, পদবঞ্চিত, ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটি বর্ধিতকরণ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদ পুনঃমূল্যায়ন ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণ এ তিনটি দাবি জানিয়ে আসছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, কমিটির দাবিতো আমরা পূরণ করতে পারবো না। এর জন্য তাদের যোগাযোগ করা উচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে । ঠুনকো কারণে এভাবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলার কোর অধিকার তাদের নেই । আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
তিন বছর পর এ বছরের ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পদবঞ্চিতরা।
ক্যাম্পাসে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মাহফুজা ১৯-৯