বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বেগম খালেদা জিয়ার অবেদনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন এবং তার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বাড়বে। আমরা জিও (প্রজ্ঞাপন) জারি করে দেবো বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে আনিসুল হক জানান, বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা করাবেন এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। আগের দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দেয়া হয়।
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো । আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ।
ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির জন্য ।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ।
দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন এবং নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করা হয় ।বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন । খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয় রায় ঘোষণার পর। হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হলে পরিবারের আবেদনে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয় ।
মাহফুজা ১৮-৯