টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঈগল পরিবহন নামের একটি বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ৫ আগস্ট ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও সোহাগপল্লী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার। গ্রেফতাকৃতরা হলো, কালিয়াকৈর কাঞ্চনপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে মো. আউয়াল এবং শিলাবহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাহেজের ছেলে নুরনবী ।
বৃহস্পতিবার ৪ আগস্ট ভোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির থেকেমূলহোতা রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল এর নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা তেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার তিনজনই মাদকাসক্ত।আদালত গ্রেফতার রাজা মিয়ার পাঁচদিনের রিমান্ড মনজুর করেন । গ্রেফতার মূলহোতা রাজা মিয়া কালিহাতীর বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং ঝটিকা বাসের চালক ছিলেন
এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ডাকাত চক্রটি আরও কোনো ডাকাতি কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে কি না, তাদের দলের সদস্য সংখ্যা কত, তারা আর কী ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত সে সম্পর্কে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ ।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি নেন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন ।
মঙ্গলবার ২ আগস্ট দিবাগত রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার পথে এ ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ।হেকমত মিয়া নামের কুষ্টিয়ার এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে মধুপুর থানায় বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
মাহফুজা ৫-৮