১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের জামিন আবেদন

    দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম জামিনের জন্য আবেদন করেছেন।

    ধারনা করা হচ্ছে, রোববার (২২ মে) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেন।

    হাজি সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হাজি সেলিমের পক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনি তিনটি আবেদন দাখিল করেছেন। এগুলো হলো-আপিলের শর্তে জামিন আবেদন, কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা এবং কারাকর্তৃপক্ষের তত্ত্ববধানে উন্নতমানের হাসাপাতালে বেটার ট্রিটমেন্টের।

    উল্লেখ্য, সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর দুদক মামলার চার্জশিট দাখিল করে।

    চার্জশিটে বলা হয়, হাজি সেলিম জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, সম্পদ বিবরণীতে প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছিলো। হাজি সেলিম তার সম্পদ বিবরণীতে প্রায় ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার হিসাব বিবরণী দাখিল করেছিলেন।

    বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায় দেন। রায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজি সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজি সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

    হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজি সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সে নির্দেশনার আলোকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুদক হাজি সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করে।

    সেই আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতের নথি তলব করেন। নথি আসার পর গত ৩১ জানুয়ারি আপিলের শুনানি শুরুর পর গত বছর ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। হাইকোর্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    এদিকে, হাজি সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা যাওয়ায় তার আপিলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় জামিনে ছিলেন হাজি সেলিম।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর