৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বাবার কোলে শিশুকে হত্যা: গ্রেপ্তার অস্ত্রের যোগানদাতা

    নোয়াখালীর হাজীপুর ইউনিয়নে তাসফিয়া আক্তার জান্নাত (৪) হত্যা মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অস্ত্রের যোগানদাতা সাকায়েত উল্ল্যাহ জুয়েলকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে ।

    রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।

    শনিবার দিবাগত রাতে বেগমগঞ্জের হাজীপুর থেকে জেলা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে।

    গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষীণারায়ণপুর গ্রামের বজু মেকার বাড়ির মৃত হাবিব উল্যার ছেলে।

    পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, শিশু তাসফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুন উদ্দিন রিমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে জুয়েলের নাম আসে। এরপর থেকেই জুয়েলকে ধরতে ডিবি পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখে।

    তিনি আরো জানান, জুয়েলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোলাইমানের পরিত্যক্ত বসতঘরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, দুটি কিরিচ ও একটি রামদা উদ্ধার হয়।

    গত ১৩ এপ্রিল (বুধবার) বিকালে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী দোকানে এলাকার আবদুল্লাহ আল মামুনের বন্ধু ষ্টোরে যান প্রবাসী মাওলানা আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় রিমন, মহিন, আকবর এবং নাঈমের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার ওপর হামলা চালায়।

    একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে, তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তাদের প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। মেয়েকে নিয়ে বাবা আবু জাহের বাড়ির দিকে চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে তাসফিয়া ও মাওলানা আবু জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

    পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও মাওলানা আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছলে মারা যায় তাসফিয়া।

    এ ঘটনায় তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বুধবার বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মো. রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে। এ মামলায় পুলিশ, র্যাব ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ পর্যন্ত প্রধান আসামিসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

    মামলার দ্বিতীয় আসামী ও হত্যার মূল পরিকল্পপনাকারী বাদশাসহ আটজন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর