বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াসপত্নী লুনা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও মানবাধিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই এম ইলিয়াস আলীসহ দেশের ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে রেখেছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। আর বাস্তবে এর চেয়েও বেশি হবে।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের নতুন বাজারে উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি বিএনপির ঘরে ঘরে সবাই আজ আসামি। এটার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করা। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য তারা পূর্ব থেকে এই নীলনকশা করেছিল। আর এই নীলনকশা অনুযায়ী তারা গুম কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা করে গুম আর আমাদেরকে বলা হয় গুম পরিবার ও অপরাধী। দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষমতায় গিয়ে আজ বাংলাদেশকে তারা তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।
ইলিয়াসপত্নী বলেন, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। এদেশের জনগণ কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সবকিছুই লুটে নিচ্ছে সরকারি দলের লোকজন। আমরা সবাই এই দুর্নীতি আর অপশাসনের প্রতিকার চাই। আমাদেরকেই দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। এজন্য বিএনপির সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলার আহবান জানান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া এবং পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদের যৌথ পরিচালানয় ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মখন মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাহিদ আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুরমান খান, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান খালেদ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শামসুল ইসলাম, সদস্য সাইদুর রহমান রাজু, পৌর যুবদলের আহবায়ক শাহজাহান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহমদ, সাদস্য সচিব ফাহিম আহমদ প্রমুখ।