ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন দুজনে। তবে বিয়ের এক বছর পেরোতেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বিল্লাল হোসেন। পরকীয়ার সন্দেহে এ খুনের ঘটনা বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বিল্লাল।
বুধবার রাতে পুলিশ কক্সবাজারের উখিয়া থানার জামতলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করে নার্স ফাতেমা খাতুনের মরদেহ। তিনি সেখানে এমএসএফ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ফাতেমার স্বামী বিল্লাল একই হাসপাতালের নার্সিং স্টাফ। তিনি ঘটনার রাতেই ৯৯৯-এ ফোন করে জানান ফাতেমা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে জানান, বিল্লাল ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিলেন। তবে তদন্তের শুরুতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে হত্যার রহস্য। পরে তিনি খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিল্লালের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ফাতেমার বাড়ি জামালপুরের ঘোড়ধাপ গ্রামে। বিল্লালের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের জোড়দিঘি গ্রামে। দুজনেই পেশায় নার্স। তারা ভালোবেসে বিয়ে করেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। উখিয়ায় এমএসএফ হাসপাতালে চাকরির সুবাদে জামতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল দাবি করেছেন, হাসপাতালের অন্য স্টাফের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। পারস্পরিক অবিশ্বাস নিয়ে কথার একপর্যায়ে বুধবার রাত ২টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়।
বিল্লাল হোসেন রাগের বশে গলা টিপে ধরলে শ্বাসরোধে ফাতেমার মৃত্যু হয়। এরপর মরদেহ বাথরুমে নিয়ে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। হত্যার দায় থেকে নিজেকে বাঁচাতে বিল্লাল তখনই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। উখিয়া থানার পুলিশকে জানান তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল ও আলামত দেখে শুরুতেই বিল্লালকে নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে। স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাথরুমে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার কথা জানিয়ে বিল্লাল হোসেন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।’