কুষ্টিয়ার মিরপুর অঞ্চলে পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙনে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার একর ফসলী জমি বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে মহাসড়ক। শুষ্ক মৌসুমের ভাঙনে অসংখ্য বাড়িঘরও নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে আছে কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক। ঠেকাতে জিও-টিউব দিয়ে জরুরি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে তীর সংরক্ষণের জন্য মোটা অংকের প্রকল্প প্রস্তাব- ডিপিপি জমা দেয়া হয়েছে।
ফসলের ক্ষেতসহ প্রতিদিনই নতুন নতুন কৃষিজমি ভেঙ্গে নিজের প্রশস্ততা বাড়িয়ে নিচ্ছে প্রমত্তা পদ্মা। কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৮টি মৌজা এ মৌসুমেই বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে এর আগে ফেলা জিও ব্যাগও ভেঙ্গে নিয়ে গেছে পদ্মা। হাজার হাজার মানুষের দাবীর পরে এবার কয়েকগুণ ওজনের জিও-টিউব দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে ভাঙন প্রতিরোধের কোন উদ্যোগই টেকসই হবে না বলছেন স্থানীয়রা।
স্মরণ কালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভাঙনে গত এক সপ্তাহে অন্তত ৩ হাজার বিঘা জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরো কয়েকটি গ্রাম ও কুষ্টিয়া-ইশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক। সাহেবনগর এলাকায় এই মহাসড়ক থেকে এখন মাত্র ৬০ মিটার দুরে পদ্মা। বাড়িসহ সব হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষক সাধারণ।