রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ কার্যত প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটতি মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে ইউরোপের অনেক দেশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যাসের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ মেটাতো রাশিয়া। সরবরাহে বিঘ্নের জন্য মস্কো নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করলেও ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে জ্বালানিকে হাতিয়ার করার ।
জার্মানির সরকার সংকটের শুরু থেকেই কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ থেকে এলএনজি বা তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছে বার্লিন।১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও সেই লক্ষ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে গ্যাস নেয়ার জন্য এলএনজি টার্মিনাল এখনো প্রস্তুত হয়নি। জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেক জানান, প্রায় শেষ হতে চলেছে দেশের উত্তর পশ্চিমে লুবমিনে একটি টার্মিনালের কাজ। ডিসেম্বর মাসেই সেখানে এলএনজি বোঝাই জাহাজ নোঙর করতে পারবে । জ্বালানি সাশ্রয়ের মাত্রা ভালো থাকলে ও আবহাওয়া প্রসন্ন হলে শীতের মাসগুলোতে জার্মানিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে জানান হাবেক।
ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতাও বাড়ছে জ্বালানি সংকটের জেরে । আগামী ১০ই অক্টোবর থেকে ফ্রান্সের একটি সংস্থা জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করবে । দেশটির সাধারণ মানুষের জন্য গ্যাসের অভাব হবে না বলে আশ্বাস দেয় সিআরই নামের জ্বালানি কোম্পানি।
স্পেনের শিল্পমন্ত্রী রাইয়েস মারোতো জানান , যেসব শিল্পে বেশি জ্বালানির প্রয়োজন হয়, ঘাটতি দেখা দিলে শীতকালে সেগুলো বন্ধ রাখা হবে। পর্তুগালের সরকার জানান, শীতকালে কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশ।
মাহফুজা ২০