যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হঠাৎ করে কিয়েভ সফরে যান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে তিনি দেখা করেন।
পুরো বিশ্বের কাছে সফরের বিষয়টি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোপন রাখা হলেও, বাইডেন কিয়েভে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই রাশিয়াকে এ বিষয়ে জানানো হয়। সোমবার এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান।
মূলত বাইডেন কিয়েভে যাওয়ার পর যেন কোনো ধরনের হামলা বা ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেটি আশ্বশ্ত করতে রাশিয়াকে বিষয়টি জানানো হয় বলে জানান সুলিভান।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়াকে জানিয়েছি প্রেসিডেন্ট কিয়েভে যাবেন এবং দ্বন্দ্ব পরিহারের উদ্দেশ্যে এ ব্যাপারে তাদের জানানো হয়। তবে তাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে বা তারা কি জবাব দিয়েছে এ বিষয়টি আমি প্রকাশ করতে পারব না এবং বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তবে আমি নিশ্চিত করে বলছি প্রেসিডেন্টের সফরের বিষয়ে রাশিয়াকে অবহিত করা হয়েছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ জো বাইডেনের এ সফরকে ‘অভাবনীয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানান, রোববার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওয়াশিংটনের বাইরে অবস্থিত অ্যান্ড্রুস ঘাঁটিতে যান। সেখান থেকে কয়েক জন সহযোগীকে নিয়ে বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে রওনা হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাত্র এক জন সাংবাদিক এবং এক জন চিত্রগ্রাহক এই সফরে বাইডেনের সঙ্গে ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট জার্মানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে যান। বিমানটিতে জ্বালানি দেওয়া হয় এবং তিনি দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেজেসজোতে যান। এক ঘণ্টা পর বাইডেনের বিমান পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তবর্তী শহর প্রজেমিসলে গিয়ে অবতরণ করে। সেখান থেকে একটি ট্রেনে করে ১০ ঘন্টা পর তিনি কিয়েভ গিয়ে পৌঁছান।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ট্রেনটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ-পাসাজিরস্কি স্টেশনে থামে। সেসময় প্ল্যাটফর্মের চারপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
হোয়াইট হাউজ জানায়, যখন আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধ চলছিল তখন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যুদ্ধবিধ্বস্ত সেসব দেশে যান। কিন্তু তাদের সফরের সময় ইরাক এবং আফগানিস্তানে অসংখ্য মার্কিন সেনা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বাইডেনই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশে গিয়েছেন, যেখানে তাদের একজন সেনাও ছিলনা।
মাহফুজা ২১-২