তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ৭ দিন পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজার দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
সোমবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সূত্রের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, শুধু তুরস্কেই ভূমিকম্পে মারা গেছেন ৩১ হাজার ৬৪৩ জন।
জাতিসংঘ বলেছে যে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে।
সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার তুরস্কের হাতায় প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। টানা ১৮২ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল ওই বালক, এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে চলছে উদ্ধারকাজ। এক সপ্তাহ আগে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাড়ছেমৃতের সংখ্যা। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া মাঝে মাঝে যে কজন উদ্ধার হয়েছে তাদের দেয়া হচ্ছে জরুরি চিকিৎসা।
তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সিএনএন জানায়, ভূমিকম্পে আহত হয়ে ১৯ হাজার ৩০০ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩৬ জন ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়া ৮ হাজার ৮৫১ জন রোগীকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এদিকে ভূমিকম্পে অন্তত ১ হাজার ৩৬২টি শিশু তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানান দেশটির পরিবার ও সমাজসেবা মন্ত্রী দিরিয়া ইয়ানিক। তবে এরইমধ্যে ৩৬৯টি শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে । তিনি আরো বলেন, ৭৯২টি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানায়, ৬ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে ।
৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মাহফুজা ১৪-২