অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন । তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য। দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ।
রোববার সকালে তাকে নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে যান ক্ষমতাসীন দল ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি টিম। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা ওসিসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের দফতর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। সেখানে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি।
জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন, এটি নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়। বিরোধীদল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দেয়।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। আগামীকাল সোমবার মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে। আইন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ না নেওয়া পর্যন্ত বর্তমান রাষ্ট্রপতি নিজ পদে বহাল থাকবেন।
সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে একজন প্রার্থী হলে, নির্বাচনের জন্য সংসদের সভা বা ভোটের প্রয়োজন হবে না।
১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাহফুজা ১২-২