রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাই সহানুভূতি দেখালেও কেউ তাদের দেশে ফেরাতে যথাযথ সহায়তা করছে না বলে মন্তব্য করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ঢাকা সফররত গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত মামাদু তাঙ্গারা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে গাম্বিয়া বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং সে কারণে আমরা এই ইস্যুতে অ্যাডভোকেসি করছি। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমে শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরতে হবে। এ লক্ষ্যে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, ওআইসি, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে ।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য অর্থের সঙ্কট আছে। যদিও আমরা এক্ষেত্রে আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস।
এর আগে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণা বা জয়েন্ট পলিটিক্যাল ডিক্লিয়ারেশন সই করেছে । এ ঘোষণার মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একসঙ্গে কাজ করবে দেশ দুটি।
রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমরা যে চুক্তিটি সই করলাম সেটি হচ্ছে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কো-ডিপ্লয়মেন্ট সংক্রান্ত। ভবিষ্যতে আমাদের যত শান্তিরক্ষী বাহিনী যাবে, তার অনেকগুলোতে গাম্বিয়া থেকে শান্তিরক্ষী নেবো।
জাতিসংঘে বর্তমানে এক লাখ ৮৪ হাজার বাংলাদেশি শন্তিরক্ষী কাজ করেছেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গাম্বিয়া, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হলো ।
মাহফুজা ১২-২