তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজারে। রোববার তুরস্কে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৪ হাজার ৬১৭ এ পৌঁছেছে । সিরিয়ায় ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা গেছেন। খবরটি জানায় আল-জাজিরা।
শনিবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের কাহরামানমারাস শহরে পৌঁছান মার্টিন গ্রিফিথস। কাহরামানমারাস প্রথম কম্পনের উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানান জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।
স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্টিন আরও বলেন, এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে যত মানুষ চাপা পড়ে আছে, তাদের উদ্ধার করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা এখন যা আছে তার দ্বিগুণ বা তিন গুণ হতে পারে ।
এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ।
জাতিসংঘ জানায়, সিরিয়ায় ৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ ভূমিকম্পের পরে গৃহহীন হতে পারে । প্রায় ৯ লাখ লোকের তুরস্ক এবং সিরিয়ায় জরুরি গরম খাবারের প্রয়োজন রয়েছে।
জাতিসংঘ আরো জানায় তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। শুধু সিরিয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ৫৩ লাখ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দ্রুত কমে আসছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ৬ দিন পর উদ্ধারকারীরা তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ধ্বংসস্তূপ থেকে সাত মাস বয়সী এক শিশু এবং এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।
এখনও অনেকেই জীবিত উদ্ধার হচ্ছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানায়, গাজিয়ানটেপ এর একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৩ বছর বয়সী এসমা সুলতানকে টেনে বের করা হয়।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায় গত সোমবার ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মাহফুজা ১২-২