তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই দাঁড়ালো ২২ হাজারে। উদ্ধারকারীরা ঘটনার চারদিন পরও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । খবটি জানায় আল-জাজিরা।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর শুধু তুরস্কেই মারা গেছে ১৮ হাজার ৯৯১ জন। সিরিয়া থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪ হাজার মরদেহ।
তবে এই সংখ্যাটি আরও কয়েকগুণ বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে অনেক জায়গায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া একই পরিবারের ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কর্মীরা ইস্কেন্ডারানে ধসে পড়া একটি ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করে।
মুরাত বায়গুল নামের এক উদ্ধারকর্মী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় ৯০ ঘণ্টা পর দক্ষিণ হাতায় প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে ইয়াগিজ নামের ১০ দিন বয়সী শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করা হয়। একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানায়।
তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ পুরোদমে শুরু হলেও সিরিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ। সিরিয়ার সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের উদ্ধারকারী বাহিনী হোয়াইট হেলমেট দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পোতে উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনার দায়িত্বে আছে। ভূমিকম্পে সিরিয়ার এই প্রদেশটিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
হোয়াইট হেলমেটের কর্মকর্তা ওবাদাহ আলওয়ান বিবিসিকে জানান ভারি ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ঠিকমতো চালাতে পারছেন না তারা। ত্রাণসামগ্রীর সরবরাহ না থাকায় আহতদের চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তা দেয়া যাচ্ছেনা।
বিবিসিকে আলওয়ানি বলেন, ‘চতুর্দিকে চুড়ান্ত এলোমেলো পরিস্থিতি এবং পুরনো সব যন্ত্রপাতি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আধুনিক ও ভারী উপকরণ না থাকায় ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারকাজ বারবার ব্যাহত হচ্ছে। আহত ও জীবিতদের আমরা খাদ্য-চিকিৎসা সহায়তা ঠিকমতো দিতে পারছি না।
পাকিস্তান ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে একটি কার্গো প্লেনে ২২ মেট্রিক টন ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে ।
মাহফুজা ১০-২