তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১ জনে।এছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আল-জাজিরা জানায়, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত অকতের দেয়া তথ্যমতে, শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের ।
উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কয়েক হাজার সদস্য। কিন্তু ভূমিকম্পের প্রায় ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় পর কাউকে আর জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা কমে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র এখন ‘আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে।
তুরস্কের কর্মকর্তারা জানান, পশিচমের আদানা থেকে পূর্বের দিয়ারবাকির পর্যন্ত মোটামুটি ৪৫০ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশ দুটিতে। নগরীর কেন্দ্রস্থলে এবং স্টেডিয়ামগুলোতে তাঁবু খাটানো হয়েছে। তাছাড়া, ভূমিকম্প এলাকার বাইরে ভূমধ্যসাগরীয় এবং এজিয়ান সাগরের সৈকতে গ্রীষ্মকালীন রিসোর্টগুলো গৃহহীন মানুষদের আশ্রয় দিতে হোটেলরুম খুলে দেয়া হয়।
পুরো তুরস্ক এর হোটেলগুলোতে ১০ হাজার কক্ষ ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এসব হোটেলকক্ষ মূলত আনতালিয়া, মারমারিস, ফেথিয়ে, বদরুম, আজমির এবং কাপাদোসিয়ার রিসোর্টের।
বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রথমবারের মতো যায় জাতিসংঘের সহায়তা। সিরিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও সহায়তা পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস।
ইউএসজিএস জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় এবং রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
মাহফুজা ১০-২