১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে

    বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনের যাচাই-বাছাই শেষে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস।

    তবে সাময়িক হিসাবে ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। চূড়ান্ত ফলাফলে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৬১ জন বেড়েছে। চূড়ান্ত হিসাবে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ হয়েছে।

    জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সাময়িক প্রতিবেদনের ওপর ‘পোস্ট ইনিউমেরেশন চেক (পিইসি) অব দ্য পপুলেশন অ্যান্ড হাউজিং সেন্সাস ২০২২’ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।

    সোমবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

    জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জনশুমারির কাজ কিন্তু থেকে নেই। এর ধারাবাহিকতায় পিইসি প্রতিবেদন প্রকাশ পেল। এখানে যেভাবে ফলাফল এসেছে সেভাবে হয়েছে। শুমারি করতে আমরা চেষ্টার কমতি করিনি। ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটা কোনায় আমরা পৌঁছে গেছি। সবার সহায়তায় এটা করতে সক্ষম হয়েছি।

    গত বছরের ২৭ জুলাই বিবিএসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিবিএস প্রতিবেদনের সে সময় বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।

    শুভেচ্ছা বক্তব্যে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, জনশুমারি কাজ কিন্তু থেমে নেই। এর ধারাবিহিকতায় পিইসি রিপোর্ট প্রকাশ পেল। এখানে যেভাবে ফলাফল এসেছে সেভাবে হয়েছে। শুমারি করতে আমরা কোনো চেষ্টার কমতি করিনি। ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটা কর্নারে আমরা পৌঁছে গেছি। সবার সহায়তায় এটা করতে সক্ষম হয়েছি। সম্প্রতি জাতিসংঘের আমন্ত্রণে বিবিএসের পক্ষ থেকে আমি গিয়েছিলাম। জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা আমাদের শুমারির ব্যাপক প্রশংসা করেছে এবং আমাদের শুমারিটি গ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে তারা।

    বিআইডিএস জানায়, জনশুমারি প্রকল্পের তৃতীয় পক্ষের তদারকি কাজ শুরু হয়েছে গত ১০ অক্টোবর। দেশের ৩৫৪টি নমুনা এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করে বিআইডিএস। গত ৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বিআইডিএস শুমারি পরবর্তী মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু করে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলে।

    অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ট্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পারসোনাল ইন্টারভিউয়িং (সিএপিআই) পদ্ধতিতে এটি করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটে নির্ধারিত এলাকার অবস্থান করা সব দেশি-বিদেশি নাগরিকদের গণনার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া, ছয় মাসের কম সময়ের জন্য সাময়িকভাবে বিদেশে অবস্থান করা নির্দিষ্ট এলাকার সব বাংলাদেশি নাগরিককে পুনরায় গণনা করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আট কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।

    ২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, সে সময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।

    বিশ্বের যেকোনো দেশে জনশুমারির ৫ শতাংশ পর্যন্ত আন্ডার কাউন্ট জাতিসংঘের স্বীকৃত। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করা যাচাই-বাছাই অনুযায়ী বিবিএসের জনশুমারি সঠিক।

    মাহফুজা ৬-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর