বিচ্ছেদের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছেন তারকা দম্পতি রাজ-পরী। তবে স্বামীর বিরুদ্ধে তোলা নায়িকার মারধরের অভিযোগ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ক’দিন আগেই রক্তাক্ত বিছানার ছবি প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন পরীমণি। রাজ তার গায়ে হাত তুলেছেন এমন অভিযোগ করেন তিনি। যদিও সেদিন কি ঘটেছিল তা এখনও পরিষ্কার করেননি তারা।
তবে বাড়ির ব্যবস্থাপকের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম জানায়- হাতাহাতি নয়, অ্যাকুরিয়াম ভেঙে এই রক্তের সূত্রপাত।
বাসার ব্যবস্থাপক জানান- ‘পরীমণি যে রক্তের কথা বলছেন, সেটা রাজের রক্ত। অ্যাকুরিয়াম সরাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাজ নিজেই অ্যাকুরিয়ামটি সরাচ্ছিলেন। সেটি পড়ে ভেঙে রাজের হাত কেটে গেছে। ওই সময় রাজ্যও পাশে ছিল।
কিন্তু পরীমণি বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি একটি গণমাধ্যমকে জানান, ‘সেদিন আমার বাসায় কোনো কাজের লোকই ছিল না। আমার যারা স্টাফ, তাদের আগেই ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছিল আমার শাশুড়ি। শুধুমাত্র রাজের পরিবারের লোকজনই বাসায় ছিলো।’
পরী আগেই জানান , আমাদের এই সম্পর্ক এতদিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলার পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে রাজ্য বড় হতে পারে না। তাই আমি রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেলাম। তিনি বলেন, রাজ্য তার বাবা-মাকে একসঙ্গে নিয়ে বড় হতে পারল না, এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে!
অন্যদিকে রাজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাই বেডরুম ইজ প্রাইভেট, ভেরি প্রাইভেট। নট ফর পাবলিক। বাট আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নিচ্ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ঘরের বিষয় নিয়মিত ফেসবুকে চলে যাবে, এটা হতে পারে না! আমি অনেক সহ্য করেছি। এভাবে চলতে থাকলে জীবন চালানো অসম্ভব।’
ভালোবেসে ঘর বাঁধেন রাজ-পরী। গত বছরের শেষ দিনে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরীমণি। এরপর নতুন বছরের প্রথম প্রহরেই রক্তমাখা বিছানার ছবি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা জানান। পরবর্তীতে আরেকটি স্ট্যাটাসে রাজের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ। মাত্র সাতদিনের পরিচয়ে তারা বিয়ে করেন। গেল বছরের ১০ জানুয়ারি সে খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা এবং একইদিন সন্তানধারণের বার্তাটিও দেন এ দম্পতি। এরপর এ বছরের ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন। গেল বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান- শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
মাহফুজা ৪-১
