ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে দাঁড়ালো ২৫২ জনে। এছাড়া ধব্ংস স্তুপের নিচে এখনো আটকে আছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার আঞ্চলিক গভর্নর রিদওয়ান কামিল সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি।
রয়টার্স জানায় এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে আহত ৩৭৭ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয় অন্তত সাত হাজার ৬০ জনকে।
কম্পনের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে লেমব্যাং, বানদুংসহ একাধিক অঞ্চল। বাস্তুচ্যুত হন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২২ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে আহত বহু মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার অনেককে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালের বাইরে।
ধসেপড়া ভবনের নিচে আটকে থাকা মানুষদের বাঁচানোর জন্য উদ্ধারকারীরা রাতেও কাজ করছেন।
জাভার গভর্নর জানান, ভূমিকম্পে এক হাজার লোক তাদের থাকার জায়গা হারিয়েছেন এবং দুই হাজারের বেশি বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে।
এদিকে কর্মকর্তারা সাবধান করেছেন মূল ভূমিকম্পের পর ছোট ছোট একাধিক ভূকম্পন হতে পারে এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম অ্যানতারাকে জাতীয় পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত ও নিহতদের উদ্ধারে তারা সহযোগিতা করছে।
চিয়ানজুর থেকে ১০০ কিমি দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও ভূকম্পন বেশ জোরেই অনুভূত হয়েছে। সেসময় রাজধানীর উঁচু ভবনগুলো থেকে আতংকে মানুষজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিয়ানজুর এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
মাহফুজা ২২-১১