বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তার দাফন করা হয় এবং স্বজনরা এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সোমবার বিকেলে বনানী ঘাটের কাছে লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ফারদিনের মরদেহ। তিনি কুতুবপুরের নয়ামাটি এলাকার কাজী নুরুদ্দীন রানার ছেলে এবং বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পরশ বুয়েটের ডিবেট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে জানুয়ারি মাসে স্পেন যাওয়ার কথা ছিল তার।
সকালে চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘পরশের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যে পরিমাণ আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে নি:সন্দেহে এটি হত্যাকাণ্ড। পরশের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানা যাবে।
ময়নাতদন্তের পর নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশ পরশের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। দুপুরে ফারদিনের প্রথম জানাজা বুয়েটে এবং বিকেলে ডেমরা সামসুল হক স্কুল ও কলেজে দ্বিতীয় জানাজা হয়। সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়ায় তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে।
নিহত পরশের বাবা নূর উদ্দিন বলেন, ‘নিখোঁজের একদিন পর রামপুরা থানায় একটি জিডি করেছিলাম। সে ভালো ছাত্র ছিল। আমার ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিল না। আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই।’
মাহফুজা ৮-১১