জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক এর করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।আদালত আগামী ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন ।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা আলাদা রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
দুদক ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন এর অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় এ মামলা করে । মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
২০২১ সালের ১ এপ্রিল জোবাইদা রহমানের লিভ-টু-আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ওই বছরের ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু করোনায় তা পিছিয়ে যায়। এর প্রায় এক বছর পর গত ৭ এপ্রিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আবারও এ বিষয়ে শুনানি হলে আদালত আদেশের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আর কোনো বাধা রইলো না। দুদকের মামলার আবেদন বাতিলে হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা।
মাহফুজা ১-১১