ভারতের গুজরাটে দেড়শ বছরের ঝুলন্ত সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪১ জনে । নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনেকগুলো অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে রয়েছে। সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আশিষ ভাটিয়া বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক মানুষকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবির মাচ্চু নদীর ওপর নির্মিত ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় সেতুতে থাকা কয়েকশ’ মানুষ নদীতে পড়ে যায়। অনেকে সেতুতেও ঝুলতে থাকে।ধারনা করা হচ্ছে বেশ কিছু মানুষ নদীতে তলিয়ে গেছে । উদ্ধার কাজে নেমেছে দেশটির পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
স্থানীয়রা জানান , অত্যাধিক ওজন নিতে না পারার ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ধারনা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার সময় ব্রিজটিতে ৫০০ মানুষ ছিল এবং তাদের অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন । এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, সেতুর উপরে থাকা সবাই নদীতে পড়ে গেছেন। এদের অনেককেই উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায় , রক্ষণাবেক্ষণের পর পাঁচ দিন আগেই নতুন করে চালু করা হয় সেতুটি। ছয় দিনের মাথাতেই ঘটে গেল বিপর্যয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি বা এর ফিটনেস সনদ নেয়া হয়নি। স্থানীয় মিনিউসিপ্যাল প্রধান এনডিটিভিকে এ কথা জানান। অরেভা নামের একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে সেতুটি মেরামতের কাজ পায়। সেতুটি মেরামত শুরুর পর থেকে সাত মাস বন্ধ ছিল। ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভয়াবহ দুর্ঘটনার বিষয়ে খবর নিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলের কাছ থেকে। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মোদী এবং ঘোষণা করেছেন আর্থিক সাহায্য এর । দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে দেয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দিবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
২৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ঐতিহাসিক এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনামলে। মেরামতের জন্য ছয়মাস বন্ধ থাকার পর গেল ২৬ অক্টোবর সেতুটি পুনরায় পারাপারের জন্য খুলে দেয়া হয়।
মাহফুজা ৩১-১০