‘বর্তমান সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব বাহিনীকে সক্ষম ও উপযুক্ত করে গড়ে তুলছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর এভিয়েশন বহরে দুটি মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্রাফট সংযোজন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে, যাতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সবসময় ধরে রাখতে পারি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা সব বাহিনীকে উপযুক্ত করে তৈরি করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে ভূ-মধ্যসাগরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে আমাদের যুদ্ধ জাহাজ সার্বক্ষণিকভাবে অংশ নিচ্ছে। দক্ষিণ সুদানেও নৌবাহিনীর কনটিনজেন্ট অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও এ বাহিনী নিয়মিতভাবে বহু জাতীয় এক্সারসাইজ, বঙ্গোপসাগরে কোয়ার্ডিনেটেড পেট্রল ও কূটনৈতিক সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেরিটাইম সিকিউরিটিকে সুসংহত করে চলেছে। তিনি নৌবাহিনীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।’
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অথনৈতিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব যুদ্ধ ও করোনায় উন্নত দেশগুলোও এখন হিমশিম খাচ্ছে। সেই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরাও চলছি। আমরা নিজেদের সম্পদ এবং মাটি ও মানুষ দিয়েই এ দেশকে সুরক্ষিত রাখবো। যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে মনেযোগী হতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সমুদ্র সম্পদ কীভাবে অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে পারি, ব্লু ইকোনমির মাধ্যমেই আমরা সেটা চালু করতে পারি এবং সেদিকেই আমাদেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌবাহিনীর নতুন এ অভিযাত্রায় আনন্দ প্রকাশ করেন । অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।
মাহফুজা ৩০-১০