৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও বিজিপি অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক সম্পন্ন

    কক্সবাজারের টেকনাফে হয়ে  গেল বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড -বিজিবি ও বর্ডার গার্ড পুলিশের বিজিপি অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক। এ সময় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টালশেল ও গুলি আসাসহ বিভিন্ন ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর -বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার।

    রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিজিবি রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আজিজুর রউফ।

    সকাল পৌনে ১০টায় টেকনাফ এসে পৌঁছায় মিয়ানমারের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ সময় টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তাদের স্বাগত জানানোর পর শাহপরীর দ্বীপ বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পতাকা বৈঠকে মিলিত হয় দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী।

    উত্তেজনা কমিয়ে আনতে এবং অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচাররোধে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে এ সব কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ ইফতেখার।

    সকাল ১০টা থেকে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ বিওপি সংলগ্ন সাউদার্ন পয়েন্টে অধিনায়ক পর্যায়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে সাত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং বিজিপির সাত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউর পুলিশ লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।

    বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান কর্তৃক তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় । সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখা, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো গোলা না পড়ে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বিজিপিকে আহ্বান জানানো হয়।

    সীমান্তের গোলাগুলির পরিস্থিতিতে বার বার কড়া প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি উত্তেজনা কমাতে মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিবি। পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দিলে অবশেষে দীর্ঘ ৩ মাস পর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে সম্মত হয় মিয়ানমার।

    লে. কর্নেল শেখ খালিদ বলেন, ভবিষ্যতে তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে কোনো ধরণের গোলা বা মাইন যাতে আমাদের সীমান্তে পুঁতে রাখা না হয়, সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়েছে।’ মিয়ানমার প্রতিনিধিরা জানান  সীমান্তে বসবাসরত সাধারণ বাসিন্দাদের জানমাল রক্ষায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।’

    বৈঠক শেষে রামু সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আজিজুর রউফ বলেন, বৈঠক হলে দুই দেশের সীমান্তের নানা ঘটনার বিষয়ে আলোচনা সম্ভব হয়। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। পাশাপাশি ভয়-আতঙ্কে ছিল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, দৌছড়ি, উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের মানুষ। এসব বিষয়ে তাদের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।’

    সীমান্তে উত্তেজনার রেশ শুরু হয় এ  বছরের আগস্টে। নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ। গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমারে ছোড়া দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে।

    মাহফুজা ৩০-১০

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর