বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের দফায় দফায় গোলা বর্ষণ ও মর্টারশেলের শব্দ শোনা গেছে। কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকলেও সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় সীমান্তের স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার বিকেল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টার থেকে দেশটির তুমব্রু সীমান্তের ১৮, ৩১, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার দিয়ে এবং সদর ইউনিয়নের আশারতলী, ফুলতলী ও জামছড়ির ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলারের ওপাশ থেকে কিছুক্ষণ পর পর মর্টারশেল ও গোলার শব্দ ভেসে আসে। এ সময় বাংলাদেশের ভেতরে তমব্রু সীমান্তবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতংক।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ভোরে ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দে এপারের শিশুদের ঘুম ভেঙেছে। বিস্ফোরণ শব্দকে মনে হচ্ছে যেন ভূমিকম্প ।’
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আলম বলেন, ‘ সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মোট তিন দফা মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ফায়ারিংয়ের শব্দ শোনা গেছে। আবার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্থলভাগ থেকে অনবরত গোলাগুলির আওয়াজও শুনা যাচ্ছে।’
তুমব্রু বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে যা ঘটছে তা নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি এবং অদূর ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা নিয়ে আতঙ্কিত সবাই।’
বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান , সীমান্তজুড়ে টহল বাড়ানো হয়েছে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চলছে।
মাহফুজা ১২-১১