চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশের মহাপরিদর্শক –আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন । তিনি বিদায়ী আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এসে পৌঁছলে একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এসময় নতুন আইজিপিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে আইজিপির দপ্তরে গিয়ে নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেন।
নবনিযুক্ত আইজিপি দায়িত্ব গ্রহণের পরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান এবং সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি স্বাক্ষর করেন পরিদর্শন বইয়ে। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর তিনি রাজারবাগে পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন। র্যাব অনন্য সফলতা অর্জন করেছে তার দক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার জন্য । অপরাধ দূরীকরণে তার বিভিন্ন সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক পদক্ষেপে বাহিনীটি জনসাধারণের প্রশংসা পেয়েছে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে র্যাবকে প্রশংসার আসনে বসান । তিনি জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ ছিল।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন র্যাবে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ তরান্বিত করেছিলেন। ফোর্স ব্যারাক, ফোর্স মেস, হাসপাতাল, ডেন্টাল ইউনিট, জিমনেশিয়াম, অতিথিশালাসহ অসংখ্য উন্নয়ন কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করেন তিনি।
মাহফুজা ৩০-৯