গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে হাইকোর্টের রুল খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছেন । মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে আপিল আবেদনে
বুধবার ২৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করা হয় বলে জানান ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
গেল ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল খারিজ করে দেন । ড. ইউনূস সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেন ।
গেল ১৩ জুন আপিল বিভাগ শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন । আদালত আপিল বিভাগের আদেশে রুল শুনানি শেষে খারিজ করে দেন ।
ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর গেল বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ।কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান এ মামলা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে । আদালত বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল করা হয়নি গঠন। কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। এসব অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয় ফৌজদারি আইনে ।
মাহফুজা ২৪