পাঁচদিন ধরে চলা শ্রমিক ধর্মঘটে চা প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মৌলভীবাজারের ৯২ চা বাগানের ২০ থেকে ২৫ লাখ কেজি চা পাতা উত্তোলন ব্যাহত হচ্ছে। দেশের চা শিল্প ধর্মঘটে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে ।
টি বোর্ডের তথ্যমতে, এ মৌসুমে দেশের ছোট-বড় ২৩১টি বাগানে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে।
এখন চা উৎপাদনের ভরা মৌসুম এবং কয়েকদিনে গাছে গাছে সবুজ পাতা আর কুঁড়ি এসেছে। যখন চা ফ্যাক্টরিতে নিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের কথা ঠিক তখনই স্থবির হয়ে পড়েছে পাতা উত্তোলনসহ বাগানের সব কাজ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গেল ১০ আগস্ট থেকে চা শ্রমিকরা নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন। । মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট বিষয়টি সমাধানের জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে এবং এর যৌক্তিক সমাধান না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানান চা শ্রমিক ইউনিয়ন ।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল বলেন, মঙ্গলবার শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্রীমঙ্গল এসে আলোচনায় বসবেন।চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে । আমরা আলোচনায় রাজি আছি এবং আশা করি, আন্দোলনের একটি সমাধান হবে। আন্দোলন চালিয়ে যাব আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানলে ।
বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন সিলেট শাখার চেয়ারম্যান সৈয়দ মনসুরুল হক বলেন, চা উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হবে শ্রমিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ।
এম আর এস ১৬-৮