লোডশেডিংয়ের বাইরে থাকবে মেট্রোরেল। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল। মঙ্গলবার ১৯ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একনেক সভায় মেট্রোরেল চলাচলের সময় নিয়ে আলোচনাকালে জানানো হয় এ তথ্য ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামুল আলমের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগ দেন।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়, বিশ্বের কোথাও মেট্রোরেলের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের সম্পর্ক থাকে না। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরাসরি গ্রিড থেকে মেট্রোরেলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই লোডশেডিংয়ের কোনো আশঙ্কা থাকছে না বলে জানান মেট্রোরেল প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা । আপাতত রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালাতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হচ্ছে ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ -পিজিসিবি মেট্রোরেলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরাসরি গ্রিডলাইন থেকে সরবরাহের ব্যবস্থাপনায় থাকবে। গ্রিড থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দিয়াবাড়ীতে স্থাপন করা হয়েছে ১৩২ কেভি উপকেন্দ্র। মতিঝিলে একই ক্ষমতার আরেকটি উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। মেট্রোরেলের পিলারের ওপর থাকা স্প্যানে বসানো হয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি ।
জাপানের মারুবেনি করপোরেশন ও ভারতের এল লারেসেন অ্যান্ড টারবো মেট্রোরেলের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎব্যবস্থা স্থাপন করছে ।প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো চালাতে ৮০ মেগাওয়াট এবং পরে মতিঝিল থেকে চালু করতে আরও ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। মেট্রোরেল চালু হলে গণপরিবহনে ডিজেলের ব্যবহার কমে যেয়ে কার্বন নিঃসরণ কমবে।
মাহফুজা ২৩-৭