নিজের জমিতেও যদি কেউ হাট বাজার বসায় সরকার তা খাস জমি ঘোষণা করে নিয়ে নিবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষ সাংবাদিক তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাট-বাজার বসানো যাবে না। স্থানীয় হাট-বাজারের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে।আইন অনুযায়ী কেউ সরকারি খাস জমিতে হাট-বাজার স্থাপন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমন বিধান রেখে হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন‘এটা ১৯৫৯ সালের একটা অর্ডিন্যান্স ছিল, । এটাকে যুগোপযোগী করে আইন বানানো হয়েছে। এখানে প্রায় ২৬টি ধারা আছে। এই আইনের বিধান ছাড়া কোথাও কোনো হাট-বাজার বানানো যাবে না। হাট-বাজার যদি বানানো হয় তাহলে সরকার খাস জমি হিসেবে নিয়ে নেবে।’
উদাহরণ দিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হাট-বাজার নিয়ে মোহন মিয়ার একটি মামলা ছিল সরকারের সঙ্গে। উনি তখন কোর্টে গিয়ে জিতলেন যে, এটা আমার ব্যক্তিগত হাট-বাজার; এটা খুব বিখ্যাত একটি মামলা। পরবর্তীতে সরকার ডেফিনিশন পরিবর্তন করে বললো যে, যেখানেই কেউ হাট-বাজার বসাবে, সেটা খাস জমি হয়ে যাবে। এখনো সরকারের পারমিশন ছাড়া কোনো হাট-বাজার বসানো যাবে না। এখানেও আগের ডেফিনিশন স্ট্যান্ড করবে। এটা সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অনুমতি দেবেতিনি বলেন, হাট-বাজারের কোনো জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা যাবে না। তবে এ সংক্রান্ত বিধিমালা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসক অস্থায়ীভাবে একজনের বিপরীতে সর্বোচ্চ আধা শতক জায়গা প্রদান করতে পারবেন। এর বেশি একজনকে দেওয়া যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বছরে যদি একদিন হাট-বাজার বসে সেটা অন্য কথা বা কেউ যদি মেলা বসায়; কিন্তু স্থায়ীভাবে হাট-বাজার হিসেবে যদি বসে তাহলে সরকার এটা নিয়ে নেবে।