মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম ৬ মাস স্থগিত থাকার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচাপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতে এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন পরীমনির আইনজীবীরা।
আদালতে পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন ।
গেল বছরের ৮ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই আদেশ দেন।
গত বছরের ৮ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনির নামে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছিল চেম্বার আদালত।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব । এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
এরপর একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত পরীমনির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইলফোন, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারও আগে মামলায় পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। এক মাস হাজতবাসের পর তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান।
গত বছর ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। গত বছর ৫ জানুয়ারী পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
মাহফুজা ৯-১