নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় সুখী আক্তার নামে একজন মারা গেছেন। সোমবার ভোর ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন হোসেন।
রোববার দুপুর ১টায় ফতুল্লার হিমু মার্কেট কাঠেরপুল এলাকার একটি বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়। দগ্ধ হন তার স্বীমা মো. আল-আমিন । এছাড়াও দগ্ধ হন মোছা. আলেয়া বেগম, তার ছেলে জামাল উদ্দিন ও রাজমিস্ত্রী রফিক । দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।
আলআমিনের বাড়ি পটুয়াখালি সদর আলিয়াপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. শহিদ। আলআমিন ও সুখির একমাত্র ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকে।
দগ্ধ আল-আমিনের চাচাতো ভাই রাসেল জানান, আল-আমিন ও তার স্ত্রী সুখী আক্তার পোশাকশ্রমিক। দুপুরে বাসায় এসে রান্না করার সময় চুলায় ম্যাচ জ্বালাতেই পুরোঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা দুজন এবং আশপাশের আরও তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নেয়া হয়।
তিনি জানান, আল-আমিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হিমু মার্কেট কাঠেরপুল এলাকায় একটি দোতলা ভবনের একতলায় থাকতেন। এ দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, আল-আমিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এছাড়া রফিকের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকি দুজন আলেয়া ও জামাল জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।
মাহফুজা ২৭-২