খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও রাজনীতি করতে আইনি বাধা নেই বলে জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ।
বৃহস্পতিবার বিজ মিলনায়তনে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয় দুটি শর্তে—একটি হলো, বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন; আরেকটি হলো, দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এমন কোনো শর্ত ছিল না যে রাজনীতি করতে পারবেন না
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না কারণ তিনি দণ্ডিত। এরকম কথা তো কোথাও নেই যে রাজনীতি করতে পারবেন না। তার দণ্ডাদেশ সেটা স্থগিত করা হয়েছে কারণ, তিনি অসুস্থ।
আইনমন্ত্রী বলেন,তার যে আবেদনটা, তার ভাই যে আবেদনটা করেছেন; তাতে বলা আছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার যদি আরও ভালো চিকিৎসা না হয় তার জীবন বিপন্ন হতে পারে। । মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দিয়েছেন। যিনি অসুস্থ, তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না, সেটা আপনারা দেখেন বিবেচনা করে।
খালেদা জিয়া দলীয় কার্যালয়ে অফিস করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইনি পরামর্শের প্রয়োজন হলে উনাদের আইনজীবীদের কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতি কোনো আন্তর্জাতিক চাপ নেই। জনগণের কাছে যে দায়বদ্ধতা আছে, সে দায়বদ্ধতা থেকে আমরা একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই। জনগণের আমাদের প্রতি ম্যান্ডেট আছে বলেই আমরা সরকার চালাচ্ছি। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা চলছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ এবং কোনোভাবেই দায়মুক্তি দিতে চায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ এবং একই সঙ্গে প্রত্যাবাসনও চায়।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা মিয়ানমার ও তাদের জনগণের সমস্যা। তবে, এখন এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে। যেভাবেই হোক আমরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিজস্ব ভূমিতে ফেরাতে চাই।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন—পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।
মাহফুজা ২৩-২