ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানালেন একুশে ফেব্রুয়ারিতে জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই ।
দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিতে জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই। আদালত থেকে দুই জঙ্গি যারা ছিনতাই করেছে তাদের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। শুধু ওই দুইজনকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। আমাদের টিম তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাত ১২টা থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারা ফুল দিয়ে যাওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এই দুই ভাগে শহীদ মিনারের নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পলাশী প্রান্তর থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারের সব প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে এবং যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। সঙ্গে ব্যাগ জাতীয় কোনো জিনিস নিয়ে আসবেন না।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন ভিভিআইপিরা দোয়েল চত্বর হয়ে প্রবেশ করবেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা জিমনেশিয়াম মাঠে গাড়ি রেখে বাকি পথ হেঁটে আসবেন। আর সাধারণরা পলাশী মোড় হয়ে জগন্নাথ হল হয়ে প্রবেশ করবেন এবং দোয়েল চত্বর-চানখাঁরপুল হয়ে বের হয়ে যাবেন।
প্রবেশপথ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথ ছাড়া সবগুলো সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তিন ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেৎয়া হয়েছে। ২০ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, ২১ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে নিরাপত্তা বাহিনী।
এবছর করোনার পরে যেহেতু পুরোপুরি উন্মুক্ত পরিবেশে প্রথমবারের মতো একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হবে। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ঢাবির সহযোগিতায় সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মাহফুজা ১৯-২