শ্রীলঙ্কায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২৭৫ শতাংশ বাড়লো। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে দেশটির বিদ্যুৎমন্ত্রী কাঞ্চন ওয়াজিসেকারা বলেন, আমরা চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছি। এ পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে আইএমএফের কাছে বেলআউট প্য়াকেজের অনুরোধ জানানো হয়। সংস্থাটি আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে।
দাম বাড়ানোর পর আগামী দিনে শ্রীলঙ্কা নাগরিকদের প্রতি ঘণ্টায় কিলোওয়াট প্রতি বিদ্যুতের দাম দিতে হবে ৩০ রুপি করে। কাঞ্চন ওয়াজিসেকারার ভাষায়, খরচ যোগানোর জন্য আমাদের রাজস্ব আরো বাড়াতে হবে।
মূলত জেনারেটরের জন্য আমদানি করা জ্বালানি কেনার জন্য ইউটিলিটিগুলোর অর্থের অভাব হওয়ায় গেল ভছর শ্রীলঙ্কা দৈনিক ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হয়। আর তাই ওয়াজিসেকারা জানান, বর্ধিত রাজস্বের কারণে আজ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় জ্বালানি কিনতে সক্ষম হবো।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বেলআউট প্যাকেজ দ্রুত পাওয়ার জন্য আইএমএফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন । তাছাড়া বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গেও কথা বলছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি পাকিস্তানের মতোই সংকটাপন্ন। বিদ্যুৎ বাঁচাতে প্রতিদিন সেখানে ১৪০ মিনিট করে ব্ল্যাকআউট ঘটানো হয়। নিত্যপণ্য, জ্বালানি ও ওষুধের দাম তো বেড়েছেই, এমনকি টাকা থাকলেও মিলছে না এসব পণ্য।
গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন শ্রীলঙ্কায় আর্থিক মন্দা শুরু হয় এবং দেশবাসীর ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন রনিল বিক্রমাসিংহে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায় ছয় মাস আগেও দেশটিতে এক দফায় বিদ্যুতের দাম ২৬৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তবে এখন থেকে শ্রীলঙ্কাবাসীকে প্রতি ঘণ্টায় কিলোওয়াটপ্রতি ৩০ টাকা গুনতে হবে।
মাহফুজা ১৬-২